রোববার (৩০ জুন) ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউে হৃদরোগ চিকিৎসার আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)।
কর্মশালায় অধ্যাপক চ্যান তার গবেষণালদ্ধ বিভিন্ন প্রযুক্তির ওপর বক্তব্য দেন এবং হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। এর ফলে দেশের উদীয়মান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা উপকৃত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও কর্মশালায় বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের চিফ কনসালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক। জটিল এনজিওপ্লাস্টির কেস প্রেজেন্ট করেন বাংলাদেশের তরুণ বিশেষজ্ঞরা।
স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, অধ্যাপক চ্যান চীনের নানজিং ফাস্ট হাসপাতালের কার্ডিওলজি ও ক্যাথল্যাবের পরিচালক। তিনি হৃদরোগ চিকিৎসার বিভিন্ন আধুনিক কৌশলের পথপ্রদর্শক। তিনি হৃদপিন্ডের রক্তনালির জটিল অসুখের চিকিৎসার জন্য ডি কে ক্রাশ পদ্ধতিরও উদ্ভাবক। এধরনের কর্মশালা বাংলাদেশের হৃদরোগ চিকিৎসাক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে এবং এতে রোগীরা উপকৃত হবেন।
প্রসঙ্গত, কর্মশালায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত আন্তর্জাতিক বায়োমেডিক্যাল সংস্থা মাইক্রোপর্টের ফায়ারহক লিবার্টি স্টেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ একটি অলাভজনক, সেবামূলক, সরকারি সাহায্যপুষ্ট প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশের হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগে. (অব.) আব্দুল মালিক এই ফাউন্ডেশন গঠন করেন। গত ৪৬ বছর যাবত বাংলাদেশে হৃদরোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ, গবেষণা ও চিকিৎসায় এই প্রতিষ্ঠান নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।