ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ময়মনসিংহে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা

বরিশাল হেলথ ইনফো ডেস্ক :
ময়মনসিংহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ডা. অপর্ণা বসাক।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি মেডিভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের একাধিক চিকিৎসক।

জানা গেছে, ডা. অপর্ণা বসাকের বাড়ি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলায়। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। ডা. অপর্ণা বসাক ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া এলাকার প্রান্ত স্পেশালাইজড প্রাইভেট হাসপাতালে গত এক বছর ধরে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুই মাস নগরীর পণ্ডিতপাড়া এলাকার একটি বাড়ির নিচতলায় বাসা ভাড়া নেন তিনি। ওই বাসায় মা জ্যোৎস্না বসাককে নিয়ে থাকতেন।

এর আগে মঙ্গলবার ভোরের দিকে আত্মহত্যার আগে ডা. অপর্ণা বসাক নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ভালো থাকো। আমি আর পারছি না। হয়তো সবার মতে হেরে গেলাম। মুক্তি দিয়ে গেলাম।

স্ট্যাটাসটি তিনি খন্দকার মাহবুব এলাহী নামে এক ব্যক্তিকে ট্যাগ করেছেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ‘সোমবার রাত ১০টার পর খাবার খেয়ে নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে মা জোৎস্না বসাক মেয়ে অপর্ণার ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে মেয়েকে ডাকাডাকি করলে সাড়া না পেয়ে স্থানীয় লোকজন দরজা ভেঙে আগুন নিভিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দেয়। পরে লাশ উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভোর চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন ডা. অপর্ণা বসাক। প্রাথমিক তদন্তে প্রেমের কারণে আত্মহত্যার করেছেন বলে মনে হচ্ছে। তবে পরিবার প্রেমের বিষয় নিয়ে কিছু বলছে না। ফেসবুকের স্ট্যাটাসে যে ব্যক্তিকে ট্যাগ দেওয়া হয়েছে, তাঁকে খুঁজতে পুলিশ কাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডা. অপর্ণা বসাকের এক ব্যাচমেট বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে এই ছেলের (খন্দকার মাহবুব এলাহী) সাথে তার সম্পর্ক ছিল। পরে ছেলে অন্যত্র বিয়ে করে নেয়। আবার ডা. অপর্ণার পরিবারও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। এজন্য ২ পক্ষের চাপ এবং হতাশা থেকে আত্মহত্যা করতে থাকতে পারে।

এই বিষয়ে প্রান্ত স্পেশালাইজড প্রাইভেট হাসপাতালের স্বাত্ত্বাধিকারি মশিউর আলম চন্দন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অপর্ণা বসাক প্রায় এক বছর ধরে আমাদের হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিল। শুনেছি আজ ভোরে সে নগরীর পন্ডিতপাড়া এলাকার বাসায় আত্মহত্যা করেছে। তবে কেন বা কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, আমার জানা নেই।

Comments (0)
Add Comment