নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর তিন চিকিৎসক নেতার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন ডা. সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ, ডা. শাওন বিন রহমান ও ডা. মো. রাকিবুজ্জামান।
গত ২৯ জুলাই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক আদেশে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ দলের নীতি ও সংহতির পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগে ড্যাবের আট চিকিৎসক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
পরে চলতি বছরের ৬ নভেম্বর বহিষ্কৃতদের মধ্যে তিনজন—ডা. সাজিদ, ডা. শাওন এবং ডা. রাকিবুজ্জামান—বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে ড্যাব কেন্দ্রে চিঠি দেন। তারা চিঠিতে কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চান এবং পুনরায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে ড্যাবের হয়ে কাজ করার ইচ্ছা জানান।
৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ড্যাব কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তাদের আবেদন বিবেচনার জন্য আলোচনায় ওঠে। সভার ১১ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আবেদনকারীদের কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব বিচার করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়।
পরবর্তীতে কার্যকরী পরিষদের এই সুপারিশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হলে তিনি নির্দেশনা দিয়ে তিন চিকিৎসকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেন।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের ফলে তারা আবারও আগের মতো ড্যাবের সকল কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ড্যাবকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ডা, সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ড্যাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান এর প্রতি আমার উপর দেয়া বহিষ্কারাদেশ তুলে দেবার অনুমতি প্রদানের জন্য।
ড্যাবের লাইফ মেম্বারদের সাক্ষাৎকারকালীন সময়ে দুইজন চিহ্নিত আওয়ামীপন্থী স্বাচিপ চিকিৎসক ডা সাইফুল ইসলাম ও ডা জাকির হোসেন কে প্রতিহত করতে সৃষ্ট অনভিপ্রেত ঘটনায় আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাব এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যারা আমার এই কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন ও আমার বহিষ্কারাদেশ তুলতে ভূমিকা রেখেছেন।
ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে ড্যাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক জনাব তারেক রহমান এর একজন অনুগত কর্মী হয়ে বিএনপি ও ড্যাবের সকল কর্মকান্ডে সর্বাগ্রে সক্রিয় থাকব।