নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালে রোগীদের জিম্মি করে গলাকাটা ব্যবসায় নেমেছে ডাঃ অমিতাভ সরকার’ এমন একটি হেডলাইন প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রস্ট করে অনলাইন গনমাধ্যম ‘বরিশাল বাণী’। এ নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। নানা উক্তি আর অভিযোগে ভরে যায় কমেন্ট বক্স।
তার দুর্নীতি এবং রোগী নিয়ে প্রতারণা সহ নানা কর্মকান্ড তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা।
সে সকল কমেন্ট থেকে কিছু কমেন্ট হুবুহু তুলে ধরা হল।
Mahbub Rashid : “ওনার চেম্বারের ভিতরের অবস্থা আমার স্বচক্ষে দেখার সুযোগ হয়েছিল। তিনি একসাথে ৫/৭ জন রোগীর একসাথে প্রেসার মাপার জন্য যন্ত্র হাতে বেঁধে লাইন ধরে বসিয়ে রাখেন আর তার সহযোগীগণ সেগুলো প্রেসক্রিপসনে লিপিবদ্ধ করতে থাকেন, আর উনি তখন অন্য আরেকজন রোগী দেখতে থাকেন। আর সময়ের কথা নাই বা বললাম!”।
Saiful Islam : রোগী কে গরু মনে করে। ৭/৮ জন রোগী একসাথে দেখে”
MD Monirul Kadar : “আমি ওনার একজন পুরাতন রোগী। একদিন আমি ঢাকা থেকে বরিশাল ফেরার সময় অসুস্থ হলে আমি সেই দিনই কে এম সি ক্লিনিকে সিরিয়াল দেই। সেদিন উনি নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে হাসপাতালে আসে। সেদিন তার কোন জুনিয়র ডাক্তাররাও আমাকে দেখলোনা কিন্তু পিচক্রিপশনে একটা ঔষধ লিখলো কিভাবে? এটা নিয়ে ডাক্তার অমিতাভ সরকারের বিরুদ্ধে ঝগড়া করলে সে বললো আমি আপনাকে এখনতো দেখলাম, ঔষধ দেওয়া ঠিক আছে। “কথাহলো টাকা নিছে তাই রুগী না দেখেও ঔষধতো দিয়াছে”।
Palash Das : “ডাকাত অমিতাভ সরকারের লাইসেন্স বাতিল করা উচিত”।
Md Manik Khan: “তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা ঠিক মত করেন না। সব তার চেম্বারে আসতে বলেন। আর পরীক্ষা কোনটা বাদ যায়না। যেটা কখনোই লাগবেনা সেটাও দিবেন”।
Saiful Islam : “চিকিৎসা ব্যবস্থাটা এতটাই খারাপ যে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করাতে গেলে অনেক টাকা নিয়ে যেতে হয় ডাক্তারের কাছে, গেলেই অযথা অনেক টেস্ট দেবে, সেখান থেকে ডাক্তার কমিশন পাবে, কোম্পানির স্যাম্পল পাবে কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রতি একটু দয়া হয় না, সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিয়ে এক এক জন ডাক্তার দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে। যার ভিজিট আছে ৬০০ টাকা সে যদি ইচ্ছে করে আগামীকালকে আমার ভিজিট ১২০০ সেটাই হবে। টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে গেলে টাকা দিতে হয়, সাধারণ মানুষ কি করবে , কিন্তু এই ডাক্তাররা যখন লেখাপড়া করেছিল তখন তাদের এম ইন লাইফ ছিল ডাক্তার হব গরিব রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা করাবো, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, বর্তমানে অধিকাংশ ডাক্তারি কসাই. রাত দুইটা তিনটা পর্যন্ত রোগী দেখবে শুধু টাকার জন্য। সকল সম্মানিত ডাক্তারের কাছে অনুরোধ সাধারণ মানুষের একটু দয়াশীল হন, যাহাতে মানুষ আপনাদের কথা মনে করে প্রাণ খুলে দোয়া করতে পারে”।
Mosiur Monto : আমি গত তিন বছর যাবত উনার চিকিৎসা নিচ্ছি।তবে,কর্পোরেট কোম্পানির ন্যায় উনি যে ঔষধ দিয়েছেন তা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আমাকে খেতে হবে। বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারছি না। এছাড়াও উনি কোন রোগীকেই ২ মিনিট সময় দেন না। প্রয়োজনীয় টেস্টের বাহিরেও বেলভিউ কর্তৃপক্ষের আবদার মেটাতে অতিরিক্ত টেস্ট দেয়।
On Tu : “ উনি ভুল ট্রিটমেন্ট দেয়।ভুলভাল ওষুধ দেয়। ২০১৫ তে আমাকে উনি রাইনেটিক এলার্জির কারনে মাথা ব্যাথার সমস্যার জন্য। এন্টিবায়োটিক সহ প্রায় ৮প্রকার ওষুধ দেয়। পরে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অন্য ডাক্তার দেখানো হয় এবং জানা যায় উনি যে ওষুধ দিছে তা স্ট্রোক করলে সেই রোগীকে দেয় যাতে সে ঘুমিয়ে থাকতে পারে রিলাক্স এ।পুরাই গর্ধব আর টাকার পিচাশ। একসাথে ২০/২৫ জন রোগী ঢুকায়। কারোর সমস্যা ঠিক ভাবে শোনে না।হাজার হাজার টাকার টেস্ট দেয়,ভুল ভাল ওষুধ দেয়। কয়েক লাচা মাইর দিয়া বরিশাল ছাড়া করা উচিত”
Lasker Runa : সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তারা হয় যারা দুরদুরান্ত থেকে এই ডাক্তার দেখাতে আসেন রাত তিনটা থেকে যদি সিরিয়াল লেখাতে হয় তাহলে ঐ মানুষ গুলোর কি অবস্থা হয় সবার ই কি শহরে আত্তিয় স্বজন আছে নাকি? আর যে বদমাইশ গুলো সিরিয়াল লেখে তারা ও নগত খাওয়ার জন্য ঐ খানে বসে কিছুটা দুই নাম্বার ই করে। ডাক্তারের নাম ফাটাইলো তো তার জাতের দুই তিন জন ডাক্তারের পরামর্শ আর মিথ্যা প্রচারণা । আমি ঐ এলাকার ই একজন বাসিন্দা আমি নিজে ও একবার ওনাকে দেখালাম উনি আমার আগের প্রিচকিপসন এ যা যা ছিল ঠিক তাই লিখে দিলো এমনকি ডায়াবেটিস এর ডাক্তার যা লিখেছেন তা ও উনি এক ই নিয়মে লিখেছেন। উনি নিউরোলজি র একজন ডাক্তার এখন ওনার চেয়ে অনেক বেশি ভালো ডাক্তার বরিশালে এসেছে। দালাল দের পাল্লায় দুরের রুগিরা জানতে ও পারেনা অমিতাভ এর চেয়ে অনেক বেশি ভালো ডাক্তার বরিশাল এ আছে। আপনারা সচেতন হউন ।
আরেক ভুক্তভোগী
Shahin Chowdhury : এই ডাক্তারের মূল সমস্যা রোগীর কোন অসুবিধা না থাকলেও একটা সিটি স্ক্যান দিবিনি। একটা সিটি স্ক্যান করতে ৪০০০ টাকা লাগে। যার ভাগ দিনশেষে উনিও পান
MD Shamim Mridha : উনি কেমন জানিনা তবে ওনার চেম্বারে যথেষ্ট অনিয়মে ভরপুর টাকার বিনিময়ে সব কিছু হয় দুর দূরান্তের সহজ সরল মানুষদের ডাক্তার দেখাতে এসে ভোগান্তি পোহাতে হয়। ভুক্তভোগী
Riaz Islam বলেন, আমিও ওনার এইখানে এই সবের শিকার হয়েছি।
মারুফ মেডিকেল হল : সে আওয়ামী লীগের আমলে তার রমরমা ব্যবসা ছিল সে রাজশাহী কলেজের সিইও থেকে কিভাবে সহযোগী অধ্যাপক হল,, সে ডাক্তার সাইদুর রহমানের ওয়ার্ডে জুনিয়ার ডাক্তার হিসেবে ছিল আওয়ামী লীগের কিছু প্রভাবশালী নেতার কারণে তাকে বরিশাল আনা হয়েছে আর সে বরিশাল বাসীদের গলা কেটে টাকা ইনকাম করছে।
Israt Jahan Shathy : ওনার বিরুদ্ধে অনেক রোগীর অভিযোগ রয়েছে , ওনাকে সাইজ করা উচিত। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Mithu Baroy : অসহায় রোগীদের নিয়ে এরকম করা ঠিক না আমি একটা কথা বলে রাখি আমার কথাটা বলা ঠিক না ওনার মৃত্যু সৃষ্টিকর্তা অনেক করুন ভাবে লিখে রাখবে।
কমেন্টে বেশ কিছু আইডি থেকে ডাঃ অমিতাভ সরকারের চিকিৎসা ও নৈতিকতার প্রশংসাও করা হয়েছে। কেউ কেউ তার কাছ থেকে উপকার পেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন।