জেনারেল হাসপাতালে নার্সের অপচিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল জেনারেল (সদর) হাসপাতালে প্রসব করাতে গিয়ে নার্সের অপচিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়লে হাসপাতালজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্বজনরা হামলার চেষ্টা করলে অভিযুক্ত নার্স দ্রুত হাসপাতাল থেকে সটকে পড়েন।

রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যুর পর মধ্যরাত পর্যন্ত উত্তেজনা চলতে থাকে।

অভিযুক্ত নার্সের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন মৃত নবজাতকের বাবা মিরাজ কাজী।

জানা গেছে, নগরীর নথুল্লাবাদ লুৎফর রহমান সড়কের বাসিন্দা মিরাজ কাজীর স্ত্রী খাদিজা বেগমের প্রসববেদনা শুরু হলে রোববার সকালে তাকে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্বাভাবিক প্রসবের জন্য চিকিৎসক ছাড়াই প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান দায়িত্বরত নার্সরা।

পরে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে কন্যাসন্তান জন্ম দেন খাদিজা। তবে কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে দ্রুত শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নবজাতকের মৃত্যু হয়।

নবজাতকের বাবা মিরাজ কাজী বলেন, অপারেশনের আগে আমাদের বলা হয়েছিল বাচ্চার অবস্থা ভালো। কিন্তু বাচ্চা প্রসবের পর চিকিৎসক ও নার্সদের কথাবার্তা পাল্টে যায়। তারা জানায়, বাচ্চার হার্টবিট কম ছিল। এটা আগে জানলে আমরা রোগীকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যেতাম।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রসব করাতে গিয়ে একজন নার্স উল্টাপাল্টা চাপাচাপি করে বাচ্চাকে আঘাত করেছে। এ কারণেই প্রসবের কিছুক্ষণ পর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই ওই নার্স হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

নবজাতকের স্বজনদের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল। তিনি বলেন, প্রসূতির নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করেছিলেন নার্স। সেখানে চিকিৎসক ছিলেন না, এটা নার্সরাই করে থাকেন। তারপরও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।

Comments (০)
Add Comment