সাধারণ জ্ঞান-মানবিক গুণাবলীতে হবে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা :স্বাস্থ্য শিক্ষা মহাপরিচালক

বরিশাল হেলথ ইনফো ডেস্ক :
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত অংশ যুক্ত করার চিন্তাভাবনা থাকলেও এবার আর সেটি থাকছে না। আগের মতোই এমসিকিউ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ফল প্রকাশে বিলম্বের আশঙ্কা ও মূল্যায়নে জটিলতা এড়াতে লিখিত অংশ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমএন্ডডিসি) এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের দুটি সূত্র দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত অংশ যুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে অন্তত ১৫ বার সভা করা হয়েছে। তবে এ প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি ওঠে বিভিন্ন মহলে। ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়া নিয়ে আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত এমসিকিউ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন,‘মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ প্রশ্নপদ্ধতিতেই অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় সম্ভবত সাধারণ জ্ঞান অংশের সঙ্গে মানবিক গুণাবলী বিষয়টি যুক্ত করা হতে পারে। প্রস্তাবটি এভাবেই আমাদের এসেছে। অধিদপ্তর এবং বিএমডিসি এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজন এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করা হয়েছে। বর্তমানে সাধারণ জ্ঞান অংশে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে, সেটি বাড়িয়ে ১৫ থেকে ২০ নম্বর করা হতে পারে। এ নম্বার অন্য বিষয়গুলোর সাথে সমন্বয় করা হতে পারে। বিষয়টি আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত করা হবে।’

ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত অংশ রাখা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন কিছু চিন্তা করেছিলাম। তবে লিখিত নিলে খাতা মূল্যায়ন করতে অনেক সময় লেগে যাবে। এমসিকিউয়ের মূল্যায়ন ওএমআর মেশিনে করা যায়, ফলে ফলাফল দুইদিনের প্রকাশ করা যায়। আমাদের শিক্ষার্থীরা দ্রুত ফল পেয়ে অভ্যস্ত। যার ফলে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত অংশ রাখা সম্ভব হচ্ছে না।’

অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এতদিন শুধুমাত্র প্রার্থীর মেধা যাচাইয়ের মধ্যে স্মরণশক্তি এবং মুখস্তবিদ্যা প্রাধান্য পেত। আমরা চিন্তা করছি ধীরে ধীরে আরেকটু বৈচিত্র্য নিয়ে আসার। বিশেষ করে একজন প্রার্থীর বিশ্লেষণী ক্ষমতা, বুদ্ধিমত্তা এবং তার মানবিকতা যাচাই করতে চাই। আমরা চাই একজন চিকিৎসক মানবিক হোক। এসব বিষয় যাচাই করার জন্য অল্প কিছু প্রশ্নের ধরন আমরা বদলাব। তবে প্যাটার্ন একই থাকবে, এমসিকিউ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা হবে। কিন্তু বিষয়ের মধ্যে কিছু পরিবর্তন হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য আমরা শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছি। আর এ বছরেই বড় ধরনের পরিবর্তন হবে না। ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করব। ক্রমান্বয়ে দুই-তিন বছরে যেন বুদ্ধিমত্তা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা ও মানবিকতার বিষয়গুলো প্রশ্নপত্রের বড় অংশ হয়। এক্ষেত্রে এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়ার মতো প্রশ্ন প্রণয়নের ব্যাপার আছে। এটা কিভাবে সন্নিবিষ্ট করা যায়, তা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসছি। অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধে মন্ত্রণালয়ের সভায় এটি চূড়ান্ত হতে পারে।

Comments (০)
Add Comment