বরগুনা প্রতিনিধি :
নীতিমালা লঙ্ঘন করে ডাক্তার পদবী ব্যবহার ও ভুয়া সাইনবোর্ডের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা প্রদান করার অপরাধে বরগুনা শহরে চার পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে কারাদণ্ড এবং দুইজনকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাতে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরীয়ত উল্লাহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ দণ্ড প্রদান করেন।
এর আগে সন্ধ্যায় বরগুনা শহরের বিভিন্ন স্থানে সামারি ট্রায়ালের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: জহিরুল ইসলাম সৌরভ, সুজন চন্দ্র লস্কর, বিধান রঞ্জন সরকার ও দিলীপ কুমার দাস।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করায় জহিরুল ইসলাম সৌরভকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অভিযোগ স্বীকার করায় অন্য তিনজনকে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে বিধান রঞ্জন সরকার ও দিলীপ কুমার দাস জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মুক্তি পান। তবে জরিমানা দিতে না পারায় সুজন চন্দ্র লস্করকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বরগুনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সামারি ট্রায়াল পরিচালনার সময় ভুয়া সাইনবোর্ড ব্যবহার করে চারজনকে চিকিৎসাসেবা দিতে দেখা যায়। পরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২২ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।