কুমেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনির পর পুলিশে

জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে হুমকি

 

বরিশাল হেলথ ইনফো ডেস্ক :
জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে হুমকি ও পতিত স্বৈরাচার সরকারের আমলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের (কুমেক) একাধিক শিক্ষার্থীকে মারধরে জড়িত ২৫তম ব্যাচের ডা. হৃদয় রঞ্জন নাথকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। অপ্রীতিকর ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায়ে ২৫তম ব্যাচের এ শিক্ষার্থীকে এরই মধ্যে কুমেক ক্যাম্পাসে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নানা ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে ডা. হৃদয়ের ওপর ক্ষুব্ধ জনতা সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে জাঙ্গালিয়া এলাকায় পাওয়ার পর তাকে ধরে পুলিশে দেয়।
জানা গেছে, পাঁচ আগস্টের পর একাধিক অভিযোগের মুখে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য এবং মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা গা ঢাকা দেন।

 

গত বছরের ৯ মার্চ এক মেডিকেল শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়। এর দায়ে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর তাকে আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করে কুমেকের একাডেমিক কাউন্সিল। এর পর থেকে তিনি এলাকা ছাড়া ছিলেন।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কুমিল্লার ইপিজেড সংলগ্ন জাঙ্গালিয়া এলাকায় দেখতে পেয়ে হৃদয় রঞ্জনকে ঘিরে ফেলে উত্তেজিত জনতা। পরে গণপিটুনি দিয়ে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তারা।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ডা. হৃদয় রঞ্জন নাথ কুমিল্লার মেয়র তাহসিন বাহার সুচির ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

 

সূত্রগুলো জানায়, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন ডা. হৃদয়। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং একাধিক শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অনেক শিক্ষার্থীকে মারধর ও র‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, হৃদয় রঞ্জন বর্তমানে হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

Comments (0)
Add Comment