নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসগুলোর শতবর্ষী ভবনের ছাদ ও দেয়াল থেকে দফায় দফায় পলেস্তারার ধস এবং সিলিংয়ের রড খসে বৈদ্যুতিক পাখা খুলে পড়ে আহত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশেই দিন কাটছে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের। হলের ভেতর চলাচল থেকে ঘুমানো পর্যন্ত সব কিছুতেই রয়েছে দুর্ঘটনার ভয়।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবাচিম) অবস্থাও একই রকম। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, পলেস্তারা ধসে পড়া এবং জরাজীর্ণ দেয়ালের মধ্যেই চলছে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের আবাসন ও পাঠদান কার্যক্রম।
শিক্ষার্থীরা জানান, জামিলুর রহমান পাপ্পু হলে ছাদের পলেস্তারা নিয়মিত খসে পড়ে। দেয়াল অত্যন্ত জরাজীর্ণ, আর টয়লেটের অবস্থাও নোংরা।
হাবীবুর রহমান হল পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে তারা বলেন, ভবনটি ভাঙার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আংশিক কাজ শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের এখনো পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হচ্ছে। তাদের স্থানান্তরের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়নি।
এ ছাড়া মঈনুল হায়দার হলে পানিতে প্রায়ই পোকা পাওয়া যায়। যখন-তখন কুকুর ওপরতলায় উঠে আসে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হল ক্যান্টিনগুলো ঠিকমতো তদারকি করা হয় না, ফলে অনেকেই সেখানে খাবার গ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। নারী শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাসের চিত্রও একই রকম।
এ বিষয়ে জানতে শেবাচিম অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ফয়জুল বাশারকে মুঠোফোনে একাধিক চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।