Take a fresh look at your lifestyle.

ডব্লিউএইচও স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ওষুধের সাশ্রয়ী জেনেরিক সংস্করণ চায়

39

বরিশাল হেলথ ইনফো ডেস্ক :
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রথমবারের মতো বৈশ্বিকভাবে ডায়াবেটিস ও স্থূলতা চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহারের সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এসব ওষুধের সাশ্রয়ী মূল্যের জেনেরিক সংস্করণ সহজলভ্য করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

প্যারিসভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ‘জিএলপি-১ অ্যাগোনিস্ট’ শ্রেণির ওষুধ দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই শ্রেণির মধ্যে রয়েছে নোভো নরডিস্কের ওজেম্পিক ও ওয়েগোভি এবং ইলি লিলির মাউঞ্জারো।

ডব্লিউএইচও’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতা-সম্পর্কিত জটিলতায় বিশ্বব্যাপী ৩৭ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যা ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা ও এইচআইভি মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যার চেয়েও বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রে এসব ওষুধ গ্রহণে মাসে প্রায় এক হাজার ডলার খরচ হয়, ফলে আশঙ্কা রয়েছে দরিদ্র দেশগুলোতে এগুলো নাগালের বাইরে থেকে যাবে। অথচ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ওই দেশগুলোর মানুষেরই।

ডব্লিউএইচও শুক্রবার নোভো নরডিস্কের ওজেম্পিক ও ওয়েগোভির সক্রিয় উপাদান সেমাগ্লুটাইড এবং ইলি লিলির মাউঞ্জারোতে থাকা লিরাগ্লুটাইডকে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তাদের জরুরি ওষুধের তালিকায় যুক্ত করেছে।

সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তাদের কাছে এই জীবনরক্ষাকারী ইনজেকশন পৌঁছে দিতে হবে। এ জন্য মূল্য কমাতে জেনেরিক প্রতিযোগিতা উৎসাহিত করতে হবে।”

লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজিস্ট অ্যান্ড্রু হিলের মতে, ভারতে জেনেরিক সেমাগ্লুটাইড মাত্র মাসে ৪ ডলারে উৎপাদন সম্ভব। তিনি বলেন, “আমরা চাই নোভো নরডিস্ক ও ইলি লিলি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখুক এবং এসব চিকিৎসা সাশ্রয়ী মূল্যে বৈশ্বিকভাবে সরবরাহ করুক।

আগামী বছর কানাডা, ভারত ও চীনের মতো দেশে সেমাগ্লুটাইডের পেটেন্ট মেয়াদ শেষ হবে। এতে জেনেরিক উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

যদিও এসব জিএলপি-১ ওষুধ মূলত ডায়াবেটিসের জন্য তৈরি, তবে এদের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে—যেমন বমিভাব। তবুও গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এগুলো আসক্তি নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসায়ও কার্যকর হতে পারে।

সম্প্রতি জেএএমএ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, হৃদরোগী রোগীরা এই ওষুধ ব্যবহার করলে হাসপাতালে ভর্তি বা অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি ৪০ শতাংশেরও বেশি কমে।

বর্তমানে বিশ্বে প্রতি আটজনের একজন স্থূলতায় ভুগছেন। আর ২০২২ সালের হিসাবে ডব্লিউএইচও জানায়, বিশ্বে ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন।

এছাড়া, সংস্থাটি তাদের সর্বশেষ জরুরি ওষুধের তালিকায় বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ওষুধও অন্তর্ভুক্ত করেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.