Take a fresh look at your lifestyle.

চিকিৎসক সংকট নিরসন এবং নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিতে পটুয়াখালী মেডিকেল

19

বরিশাল হেলথ ইনফো ডেস্ক :

ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও এক চিকিৎসককে ওএসডির আদেশ প্রত্যাহারসহ ৩ দফা দাবিতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের সেবা দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) কোন অবস্থান কর্মসূচি না থাকলেও বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

 

জানা যায়, গত গত ১৪ এপ্রিল দুপুরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিক তার সহপাঠীদের সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়।

 

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আশিকের সহপাঠীরা চিকিৎসকের ‘অবহেলার’ অভিযোগ তোলেন।পূর্নাঙ্গ আই সি ইউ সেবা চালু না থাকায় সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করা যায় নি কিন্তু এ প্রেক্ষিতে গত ১৬ এপ্রিল পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এ এম এস শামিম আল আজাদকে ওএসডি করা হয়। যেখানে কার্ডিওলজি বিভাগে্র মত গুরুত্বপূর্ন বিভাগে চিকিথসক সংকট রয়েছে সেখানে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে উক্ত চিকিথসককে ও এস ডি করে সড়িয়ে দিয়ে সেবার মান আর নিম্নগামী হবার আশংকা সৃষ্টি করা হয়েছে।

 

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তিন দফা দাবিতে গেলো বৃহস্পতিবার থেকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখেন চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

 

তিন দফা দাবি হলোঃ
১. হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ডাক্তার, নার্স, সংশ্লিষ্ট কর্মচারী, মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং চিকিৎসাধীন রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২. তদন্ত চলাকালীন সময়ে চিকিৎসক ডা. শামিম আল আজাদকে ওএসডির আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে।
৩. পটুয়াখালীতে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট পুর্নাঙ্গ হাসপাতাল চালু ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করতে হবে।

 

ইন্টার্নি চিকিৎসক এসোসিয়েশন এর সভাপতি ডা. মো. সবুর হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে হাসপাতালের সব সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের এক চিকিৎসককে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করে ওএসডি করা হয়েছে। তাই আমরা এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম’।

 

তিনি বলেন- ১৪ এপ্রিল এর ঘটনায় হাসপাতল ভাংচুর ঘটনার তদন্ত এবং যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। এগুলো জনগনের তথা রাষ্ট্রের সম্পদ। আমরা ইন্টার্নি শেষ করে চলে যাবো। কিন্তু পটুয়াখালী জেলার মানুষ আর কত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত থাকবে? যেখানে রোগীর তুলনায় আসন কম , ২৫০ আসনের হাসপাতালে ৫০০-৬০০ রোগীর সেবা দিতে হচ্ছে। ১৮০ জন ডাঃ প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ২০ জন ডাক্তার রয়েছে। সকল ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। এসময় জেলাবাসীকে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে না নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.