Take a fresh look at your lifestyle.

শেবাচিমে ডায়াগনস্টিক ল্যাবের স্টাফ ও দালাল দেখলেই আটকের নির্দেশ পরিচালকের

131

বরিশাল হেলথ ইনফো ডেস্ক :
সকল বিভাগীয় প্রধানের সহযোগিতা নিয়ে রোগী সেবার মান আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ, পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, রোগীর দালাল ও বাটপার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখছে নতুন এই উদ্যোগটি।

এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীরের নেতৃত্বে বিশেষ সভা ও সভা শেষে পুরো হাসপাতালজুড়ে রাউন্ড দেন সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকরা।

পরিচালকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ, পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, রোগীর দালাল ও বাটপাড় প্রতিরোধে জন্য সভায় উপস্থিত সকলের সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. আনোয়ার হোসেন বাবলু, এনেসথেসিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শাফিকুল ইসলাম, সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আহসান হাবিব, শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার সাহা, অর্থোপেডিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে এম রিয়াজ হোসেন খান, চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ, জে, এম এমরুল কায়েস, ডা. অমলেন্দু ভট্টাচার্য, সাজারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রহিম, দন্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম ওমর ফারুক, রেডিওথেরাপি (ক্যান্সার) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. আ. ন. ম মঈনুল ইসলাম, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় সহকারী অধ্যাপক ডা. নুরুল হক মিয়া।

 

সভায় সুপারিশের বলা হয়, হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের স্থান তুলনায় অতিরিক্ত রোগী থাকায় মেডিসিন বিভাগ পুরাতন ভবনে স্থানান্তরসহ আরো সম্প্রসারণ করা হবে। ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে অবাধে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পাশাপাশি যখন-তখন রোগী দর্শনার্থী প্রবেশে নতুন নিয়ম চালু করা হবে। হাসপাতালে যে ওয়ার্ড কিংবা ইউনিট অপরিচ্ছন্ন থাকবে সেই ওয়ার্ড কিংবা ইউনিটে দায়িত্বে থাকা পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ বেতন কাটার নিয়ম চালু করা হয়। সেই সাথে বাহিরের যে কোন ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি কিংবা রোগীর দালালদের ধরে সরাসরি আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেয়া হয়।

 

সভা শেষে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীরের নেতৃত্বে পুরো হাসপাতাল জুড়ে রাউন্ড দেন সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকরা। এদিকে সভায় নির্দেশনার আলোকে আজ মঙ্গলবার পুলিশ ও আনসার বাহিনীর অভিযানে হাসপাতালের মেডিসিন ভবন থেকে নগরীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী পরিচয়ধারী তপু সিকদারকে আটক করে থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। তবে থানায় তপু সিকদার মুচলেকা রেখে দেয় বলে জানা গেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.