শেবাচিমের মেধাবী শিক্ষার্থী সজীব বাড়ৈ মৃত্যুর জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি ও প্রতিবাদ সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী সজীব বাড়ৈই আত্মহত্যার ঘটনায় কলেজের প্যাথলজিষ্ট (মাইক্রোবায়োলজী) বিভাগের শিক্ষকের অপসারন দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
নিজের সাথে যুদ্ধ করে করে ক্লান্ত আমি। একটু বিশ্রাম চাই। ক্ষমা করে দিও। এত ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারলাম না এমন চিরকুট লিখে পড়াশুনার অতিরিক্ত চাপ সামলাতে না পেরে নিজেই শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেছে মেডিকেল স্টুডেন্ট সজীব বাড়ৈই।
গত ১৯ মে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ২০১৮-২০১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব বাড়ৈই। পরবর্তীতে গত ২৪ মে তিনি জীবন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান।
সজীব বাড়ৈইর মৃত্যুর সংবাদ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে আজ রোববার ( ২৫ মে) সকালে বিক্ষোভ করে তার সহপাঠি শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা অভিযোগ করেন প্যাথলজিষ্ট (মাইক্রোবায়োলজী) বিভাগের শিক্ষক ডাঃ কাজী মোঃ আসাদুজ্জামান তার টিউটোরিয়াল ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সাথে বিরুপ আচরণ করতেন, যাতে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হতো।
এসময় তারা প্যাথলজিষ্ট (মাইক্রোবায়োলজী) বিভাগের শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামানের বদলী করার দাবি জানিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকরিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষককে প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুততম সময়ের বদলী করা ও সে যাতে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থাকতে না পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সাগর হোসেন, আশিকুল হাকিম নিবিড়, আজিম হোসেন, মারুফ রহমান, রিফাত বিন জাহাঙ্গীরসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের সহপাঠিরা জানায়, পড়াশুনার অতিরিক্ত চাপ সামলাতে না পেরে প্রায় অসুস্থ হয় সজীব বাড়ৈই। তৃতীয়বর্ষে মাইক্রোবায়োলজিতে আটকে আছে সে। তার সাথের শিক্ষার্থীরা সবাই ইন্টার্নশিপ করছে। ক্লাস, পরিক্ষা খুবই ভয় পেত সে। যার কারনে গত বৃহস্পতিবার রাতে ডিপ্রেশনে ক্লোনাজিপাম+ ফ্লুক্সেটিন গুড়া করে শিরাদিয়ে রুটে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এবিষয়ে ডাঃ কাজী মোঃ আসাদুজ্জামানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।