Take a fresh look at your lifestyle.

লুটপাটই যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম

‘রোগের নাম’ ‘জাহিদ মালেক’ রোগী স্বাস্থ্য খাত-প্রথম পর্ব

৯১

বরিশাল হেলথ ইনফো ডেস্ক :

জাহিদ মালেক। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১০ বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী আর ২০১৮ থেকে ২০২৪ এর নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ছিলেন পূর্ণ মন্ত্রী। ১০ বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেটেপুটে খেয়েছেন। যে মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, জাহিদ মালেকের কারণে সেই মন্ত্রণালয়ই অসুস্থ হয়ে যায়। সীমাহীন দুর্নীতি করে স্বাস্থ্য খাতকেই আইসিইউতে পাঠিয়ে দেন জাহিদ মালেক। বিশেষ করে, পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার পর তার দুর্নীতি, লুটপাট সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।

গত ৭ মে প্রকাশিত স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কভিড-১৯ মহামারি চলাকালে কিছু হাসপাতালে প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামের দাম ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল। জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য খাতে অপ্রয়োজনীয় ও নিম্নমানের স্থাপনা তৈরি করে লুটপাট করা হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণেও ব্যয় করা হয়েছে অনেক বেশি। মন্ত্রণালয় নিজেই উচ্চমূল্যের যন্ত্রপাতির চাহিদা তৈরি করে অর্থ অপচয় করছে। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক লাইসেন্স অননুমোদিত অর্থের লেনদেন করা হয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ২০২৪ সালের এক গবেষণায় তথ্য দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৫ বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বাজেট বেড়ে যাওয়ায় প্রভাবশালী মহল নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে লবিং শুরু করে। মন্ত্রণালয়ের শীর্ষপর্যায়ে এমনকি মন্ত্রীপর্যায়ে এসব সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক সুবিধা বিতরণ করার অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে নির্মাণের স্থান ও প্রকৃতি নির্ধারণে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা ও ঠিকাদাররা প্রভাব বিস্তার করে। যার ফলে নিম্নমানের ও অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা তৈরি হয়। এভাবে নতুন স্থাপনার সংখ্যা বাড়লেও বিদ্যমানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে বরাদ্দ না থাকায় বহু প্রতিষ্ঠান এখন অচল হয়ে পড়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কভিড-১৯ করোনাকালে ৫১ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরকারি আইন ও বিধি না মেনে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করে। ক্ষমতা ছাড়ার আগের তিন বছর চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহের কাজ পেতে প্রতিটি কোম্পানিকে ১০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দিতে হয়েছে। কমিশনের অর্থের ১২ থেকে ১৫ শতাংশ নিয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ছেলে রাহাত মালেক শুভ্র।

অধিদপ্তরের কেনাকাটার নথি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২১ সাল থেকে পরবর্তী তিন বছর মোট ৭২টি দরপত্রে ৩১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার বেশি চিকিৎসা যন্ত্র কেনা হয়। ঘুরেফিরে ২৪টি প্রতিষ্ঠান এসব কাজ পেয়েছে। এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৪২ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১১৯ কোটি ১০ লাখ ৮৮ হাজার এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ২৭ হাজার টাকার যন্ত্র কেনা হয়।

স্বাস্থ্য খাতের প্রভাবশালী ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর টেকনোক্র্যাট লিমিটেড কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে কালো তালিকাভুক্ত হলে তিনি আত্মীয়স্বজনসহ নামে-বেনামে অন্তত ২০টি প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা করেন। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ডে মিঠু জাহিদ মালেক ও তার পুত্রের লুটপাটের বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বৈদেশিক প্রশিক্ষণের জন্য ১৯টি বিষয়ের আওতায় ৩১ প্যাকেজে ৪২৬ জনের নামে সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের সম্মানী ভাতা বাবদ ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৫ টাকা, বিমান ভাড়া ২ কোটি ২৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। এর বাইরে প্রশিক্ষণ, প্রাতিষ্ঠানিক ও কর্মসূচি উন্নয়ন ব্যয় হিসেবে ১৪ কোটি ৩৭ লাখ ১১ হাজার ৪৭২ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সব মিলে বিদেশে প্রশিক্ষণ বাবদ ২১ কোটি ৭২ লাখ ২৯ হাজার ১৪৭ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। প্রতিটি দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপক, কর্মচারীসহ সব প্রশিক্ষণার্থীর জন্য সমপরিমাণ কর্মসূচি উন্নয়ন ব্যয় জনপ্রতি ৪ হাজার ডলার ধরা হয়েছে, যা বাস্তবসম্মত নয়। অথচ আগের বছরগুলোতে একই কর্মসূচিতে গড়ে জনপ্রতি দেড় থেকে ২ হাজার ডলার ব্যয় হতো। প্রশিক্ষণের নামে জনপ্রতি গড়ে ২ হাজার ডলার অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ৭ থেকে ৮ কোটি টাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আত্মসাৎ করেন। অভিযোগে বলা হয়, প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই মানসম্মত নয়। ওইসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার না করে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে অতিরিক্ত পাঠানো টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। এ ঘটনায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের এপিএস আরিফুর রহমানকে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি তলব করে চিঠি দেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মো. সামছুল আলম। ওই চিঠিতে তাকে ২০ জানুয়ারি দুদকে হাজির হতে বলা হয়। চিঠি পেয়ে আরিফুর রহমান সেখ দুদকে সময়ের আবেদন করেন। এ ঘটনায় আরিফুর রহমান ফেঁসে গেলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন জাহিদ মালেক। আরিফুর রহমান সেখকে তলবের চিঠি দেওয়ার পরদিনই এপিএসের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রশাসন-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শাহাদত হোসেন কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে এরপর জাহিদ মালেকের প্রত্যক্ষ মদতে আরিফ হয়ে ওঠেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারক।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, রাহাত মালেক শুভ্রর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যের কেনাকাটায় দীর্ঘদিন সক্রিয় ছিল দুষ্টচক্র। তাঁর সহযোগী ছিলেন অধিদপ্তরের সাবেক লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপন ও অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। তাদের মধ্যে তপন প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে চক্র নিয়ন্ত্রণ করতেন। মন্ত্রী বদলের সঙ্গে তিনিও পাল্টে যান। চক্রে আরও ছিলেন স্বাস্থ্য খাতের ডনখ্যাত টেকনোক্র্যাট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু, জেনেসিস ট্রেডিং কোম্পানির কর্ণধার জাহের উদ্দিন সরকার, ওএমসি হেলথ কেয়ারের সিইও মাজবাহুল কবির, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস লিমিটেডের এমডি আবদুর রাজ্জাক ও মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় যেই হোক না কেন, শুভ্র-তপন চক্রকে ১০ থেকে ২৫ শতাংশ কমিশন না দিয়ে কাজ পাননি। শুধু তাই নয়, তারা দুর্নীতি, প্রতারণার অভিযোগে কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানকেও কাজ দিয়েছে দেদার। করোনাকালে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে চিহ্নিত প্রতিষ্ঠানের মালিকরা জালিয়াতির মাধ্যমে নাম বদলে আবার ঠিকাদারিতে সক্রিয় হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা-গ্রেপ্তার হলেও দমেনি ব্যবসা।

হাসপাতালের চিকিৎসাসামগ্রী কেনাকাটা করত কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি)। তবে করোনাকালে অন্তত ৫১ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরকারি আইন ও বিধি না মেনে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করে। ওই কেনাকাটায় গুরুতর অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় দায়িত্ব নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের কেনাকাটার নথি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২১ সাল থেকে গত তিন বছর মোট ৭২টি দরপত্রে ৩১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার বেশি চিকিৎসা যন্ত্র কেনা হয়। ঘুরেফিরে ২৪টি প্রতিষ্ঠান এসব কাজ পেয়েছে। এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৪২ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১১৯ কোটি ১০ লাখ ৮৮ হাজার এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা যন্ত্র কেনা হয়। সব কেনাকাটা নিয়ন্ত্রণ করে শুভ্র-তপন চক্র। জানা যায়, স্বাস্থ্য খাতের ডনখ্যাত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর টেকনোক্র্যাট লিমিটেড কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে কালো তালিকাভুক্ত হয়। এর পর তিনি আত্মীয়স্বজনসহ নামে-বেনামে অন্তত ২০টি প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা করেন। গত তিন বছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তাঁর ভাগনের প্রতিষ্ঠান ট্রেড হাউস ১১টি প্যাকেজে ৫১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। মিঠুকে নিয়ে হাজারো বিতর্ক থাকলেও শুভ্র-তপন চক্র কাজ দিতে তাঁকেই বেছে নিয়েছে। মিঠুর আরেক আত্মীয়ের প্রতিষ্ঠান ওয়ান ট্রেড তিন প্যাকেজে ৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকার কাজ পেয়েছে। এ ছাড়া তাঁর অধীনে থাকা এমএস মাইক্রো টেডার্স চার প্যাকেজে ১৭ কোটি ৬৪ লাখ, ছয় প্যাকেজে বাংলাদেশ সায়েন্স হাউস ১৭ কোটি ৭ লাখ ও ৯ প্যাকেজে টেকনোওয়ার্থ অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড ১১ কোটি ৮১ লাখ ২০ হাজার টাকার কাজ বাগিয়ে নিয়েছে।

মিঠুর বন্ধু জাহের উদ্দিন সরকার বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি নামে স্বাস্থ্য ব্যবসা করেন। করোনাকালে নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি কালো তালিকাভুক্ত করে অধিদপ্তর। কিন্তু ধূর্ত জাহের ব্যবসা ঠিক রাখতে জেনেসিস ট্রেডিং কোম্পানি, মার্কেন্টাইল ট্রেড, ইউনিভার্সেল ট্রেড ও এসপি ট্রেডিং হাউস নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন। এর মধ্যে জেনেসিস একটি প্যাকেজে ২ কোটি ২১ লাখ টাকার যন্ত্র সরবরাহ করে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি বাজারদরের চেয়ে কয়েক গুণ দাম বেশি নিলেও সরবরাহ করেছে নিম্নমানের সরঞ্জাম। ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে এসপি ট্রেডিং হাউস ৬ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার কাজ করেছে।

সম্প্রতি দুদক ভুয়া বিলের মাধ্যমে প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন চিকিৎসকসহ যে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে, সেখানে জাহেরও রয়েছেন।

নথিতে দেখা যায়, তিনটি প্যাকেজে ওএমসি হেলথ কেয়ার ৩০ কোটি ২৮ লাখ টাকার কাজ পেয়েছে। করোনার মধ্যে যন্ত্র সরবরাহে দুর্নীতি ও প্রতারণার মামলা হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। তার পরও আর্থিক সুবিধা নিয়ে ওএমসিকে কাজ দিয়েছে শুভ্র-তপন চক্র। গত বছর জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস লিমিটেড ২ কোটি ৫ লাখ টাকার যন্ত্র কেনাকাটার কাজ পায়। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রাজ্জাক করোনাকালে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিইসহ স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। এর পরও আবদুর রাজ্জাকের প্রতিষ্ঠান কমিশন দিয়ে কাজ পেয়েছে।

বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সাবেক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন আত্মীয়স্বজনের নামে পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলে অধিদপ্তরের প্রভাব খাটিয়ে কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। ঢাকা, ফরিদপুরসহ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে বাজারমূল্যের চেয়ে ১৫০ থেকে ২০০ গুণ বেশি দামে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় শতকোটি টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, কাজ কে পাবেন, তা ঠিক করতেন রাহাত মালেক। তাঁর পছন্দের কোম্পানির সক্ষমতা অনুযায়ী তৈরি হতো দরপত্রের শর্ত। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাজহারুল হক। এভাবেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধ্বংস করেন জাহিদ মালেক।

সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Leave A Reply

Your email address will not be published.