Take a fresh look at your lifestyle.

যে পানীয় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাবে

৬৯

হেলথ ইনফো ডেস্ক :
অক্টোবর এলেই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে গোলাপি ফিতার পোস্টার বেশি দেখা যায়। কারণ অনেকেই জানেন না কেন অক্টোবরে গোলাপি ফিতার প্রচার বেড়ে যায়। এর আসল কারণ হচ্ছে— স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস হচ্ছে অক্টোবর। আর পিঙ্ক রিবন হচ্ছে— স্তন ক্যানসারের সচেতনতার আন্তর্জাতিক প্রতীক।

আর সারাবিশ্বে স্তন ক্যানসারে নারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসই হতে পারে আপনার ক্যানসার প্রতিরোধের একমাত্র বড় হাতিয়ার। সঠিক খাবার নির্বাচন ও জীবনযাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। তাই চিকিৎসাব্যবস্থা যতই উন্নত হোক না কেন, স্তন ক্যানসারে প্রতিরোধই সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচিত। এই প্রতিরোধের অন্যতম সহজ সহযাত্রী হতে পারে আপনার পরিচিত এক পানীয়—গ্রিন-টি।

এ বিষয়ে জাপান ও চীনের গবেষকরা জানিয়েছেন, যারা নিয়মিত গ্রিন-টি পান করেন, তাদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি তুলনামূলক কম। জাপানের ন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টারের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন ৩–৪ কাপ গ্রিন-টি পানকারীদের ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

অন্যদিকে হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের তথ্যানুযায়ী, গ্রিন-টির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আপনার শরীরে নতুন কোষ তৈরির প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে নারীর স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়—

স্তন ক্যানসার প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে— গ্রিন-টি। কারণ এতে রয়েছে ক্যাটেচিন নামক এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। বিশেষ করে ইপিগ্যালোক্যাটেচিন গ্যালেট যৌগটি কোষের ডিএনএর ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং ক্যানসার সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিকেলকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।

এ ছাড়া নিয়মিত গ্রিন-টি পান করলে শরীরে টিউমার সৃষ্টিকারী কোষের বৃদ্ধি কমে এবং ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে, যা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির অন্যতম বড় কারণ।

আর গ্রিন-টির উপকারিতা পেতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। এই যেমন— গ্রিন-টি দিনে ২–৩ কাপের বেশি পান করা উচিত নয়। দ্বিতীয় চিনি কিংবা দুধ দিয়ে গ্রিন-টি খাওয়া যাবে না। তৃতীয়ত খাবারের ৩০ মিনিট পর কিংবা বিকালে পান করলে বেশি উপকার পাবেন।

এখন কীভাবে গ্রিন-টি খাবে, তা জেনে নিন—

১. গ্রিন-টি বানানোর জন্য ফুটন্ত পানি নয়, হালকা গরম পানি ব্যবহার করা উচিত। আর অতিরিক্ত গরম পানি চা পাতাকে পুড়িয়ে দিতে পারে, ফলে স্বাদ তেতো হয়ে যায়। এতে আপনার উপকারের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২. প্রতি কাপ চায়ের জন্য ১ চা চামচ গ্রিন-টি পাতা ব্যবহার করুন। আর যদি টি-ব্যাগ ব্যবহার করেন, তাহলে প্যাকেটের নির্দেশাবলি মেনে চলুন।

৩. গরম পানিতে গ্রিন-টি পাতা ২-৩ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এটি স্বাদের জন্য যথেষ্ট। বেশি সময় ধরে ভিজিয়ে রাখলে স্বাদ তেতো হয়ে যায়। আর সময় হয়ে গেলে পাতা বা টি-ব্যাগ সরিয়ে ফেলুন। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ছেঁকেও নিতে পারেন।

৪. স্বাদে ভিন্নতা আনতে চাইলে মধু, লেবুর রস বা পুদিনাপাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র : যুগান্তর

Leave A Reply

Your email address will not be published.