Take a fresh look at your lifestyle.

মেডিকেল কোচিং ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ : বাড়ল সময়সীমা

৪৩

হেলথ ইনফো ডেস্ক :

এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মেডিকেল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। নতুন নির্দেশনা অনুসারে, সব ধরনের মেডিকেল কোচিং সেন্টার ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। গত ৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

এর আগে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি সংক্রান্ত কমিটির সভার সিদ্ধান্তের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন মেডিভয়েসকে জানিয়েছিলেন, মেডিকেল কোচিং সেন্টার বন্ধে ১ ডিসেম্বর থেকে চলা নির্দেশনা আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে নতুন নির্দেশনা অনুসারে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ১২/১২/২০২৫ খ্রি.. রোজ শুক্রবার সকাল ১০:০০টা হতে ১১.১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৯টি ভেন্যুতে একযোগে ২০২৫-২০২৬ খ্রি. শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখার পত্র নং: ৫৯.০০.০০০০.১৪০.৩৩.০৩২.২৫ (অংশ নথি).৮৩৭ তারিখ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী আগামী ১৫/১২/২০২৫ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত সকল পর্যায়ে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত কোচিং সেন্টারসমূহ (অনলাইন/অফলাইন) বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে।’

‘সংশ্লিষ্ট সকলকে এই নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো’—বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

অবগতির জন্য এর অনুলিপি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিবের একান্ত সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‍্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

আগামী ১২ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা। গত বছরের ১৭ জানুয়ারি ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। সে তুলনায় এবারের পরীক্ষা মাসাধিককাল সময় এগিয়ে আনা হয়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বে সরকারি ৩৭টি মেডিকেলে পাঁচ হাজার ৩৮০টি ও বেসরকারি মেডিকেলে ছয় হাজার ২৯৩টি আসন ছিল।

পুনর্বিন্যস্ত তালিকা অনুযায়ী, সরকারি চৌদ্দ মেডিকেল কলেজের ৩৫৫ আসন কমানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে তিন মেডিকেল কলেজের ৭৫টি আসন। সব মিলিয়ে মোট ২৮০টি আসন কমানো হলো।

অন্যদিকে ৬৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে কমানো হয়েছে ২৯২টি আসন।

সমন্বয়ের পর সরকারিতে পাঁচ হাজার ১০০ এবং বেসরকারি মেডিকেলের আসন সংখ্যা দাঁড়ালো ছয় হাজার একটি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.