নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্টিভেনস-জনসন সিন্ড্রোম (SJS) হলো ত্বকের একটি তীব্র ও জীবনঘাতী প্রতিক্রিয়া, যা সাধারণত কিছু ওষুধের প্রতি শরীরের অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার কারণে ঘটে। এর ফলে ত্বক, মুখ ও চোখসহ শ্লেষ্মা ঝিল্লিতে (mucous membranes) ফোস্কা পড়ে ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়, যা থেকে পানিশূন্যতা এবং গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেয়।
এমনটাই ভূল চিকিৎসায় হয়েছে বিএম কলেজের দর্শন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাজনিন আহমেদ সাদিয়া । গত ২৬ (সেপ্টেম্বর) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
জানাগেছে, গত ২ মাস ধরে দাঁতের ব্যাথা নিয়ে বরিশাল নগরীর শুভ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা: ইকবাল হোসেন আমান এর কাছে চিকিৎসাধীন ছিল, প্রথমে আক্কেল দাঁত চিকিৎসা করার জন্য দাঁত সোজা করার কথা বলে, এবং টিথ এলেইনার চিকিৎসা করা হয়, এর পর আক্কেল দাঁতের পাশে আরেকটা দাঁতে সমস্যা দেখা গেলে সে রুট কেনেল করায়। এর পর থেকেই মেয়েটির শরীর পেরালাইসড এর মতো হয়। এর পর ডা: ইকবাল হোসেন আমানের কাছে গেলে প্রলেপ খুলে দেয় এবং ঔষধ দেয়, কিন্তু সে ভুল ঔষধ দেয় এর প্রভাবে মেয়েটি আরও গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয় এবং মুখ থেকে সারা শরীর এসিড মারার মতো পুড়ে যায় এবং মুখ এবং গলার ভিতর গলে যাওয়ার মতে হয়।
এর প্রভাবে স্টিভেনস-জনসন সিন্ড্রোম নামক রোগটি দেখা দেয়অ , এর পর সাদিয়াকে শেরই বাংলা মেডিকেল এর মেডিসিন ওয়ার্ড এ ভর্তি করা হলে এই ভূল চিকিৎসার কথা বলেন কর্তব্যরত ডাক্তারারা। শের-ই বাংলা মেডিকেলের উন্নত চিকিৎসায় বর্তমানে তার অবস্থা অনেকটাই উন্নতির দিকে।
এদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবার ডা. মোঃ ইকবাল হোসেন আমান-এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাদিয়ার মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ডা. ইকবাল হোসেন ভুক্তভোগী পরিবারের মুঠোফোনে কল করে তাদের ঠিকানা জানতে চান। নিরাপত্তাজনিত আশঙ্কায় পরিবার তাদের লোকেশন প্রকাশ করেননি।
ধারাবাহিক ৫ দিনের চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে সাদিয়ার শরীরে এখনও গভীর দাগ রয়েছে, এবং মুখের ক্ষতের কারণে তিনি শুধুমাত্র তরল খাবার গ্রহণ করতে পারছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয় এবং পরিবারের সদস্যরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।
অপর দিকে বুধবার (০১ অক্টোবর) রাতে বিএম কলেজের একটি প্রতিনিধি দল ডা. ইকবাল হোসেন আমানের চেম্বারে গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করে, তবে সেখানে গিয়ে দেখা যায় তার চেম্বার বন্ধ পায়।
এবং ডা: ইকবাল হোসেন আমানের মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেনী।