বরিশাল হেলথ ইনফো ডেস্ক :
চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) কর্মচারী মো. ইকবাল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার (১৮ মে) বিএমইউর পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইকবাল হোসেন হাসপাতাল পরিচালক অফিসের একজন এমএলএসএস কর্মচারী। গত শনিবার (১৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেজ বি রেসিডেন্ট (অর্থোপেডিক্স) ডা. মো. আহসান হাবিবকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
ইকবাল হোসেনকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৭ মে দুপুরে অর্থোপেডিক সার্জারির জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত একজন চিকিৎসকের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ ১৩(২) অনুযায়ী, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হলো।
এর আগে চিকিৎসার জন্য টিকিট করতে বলায় বিএমইউর চতুর্থ শ্রেণীর এই কর্মচারীর হাতে লাঞ্ছিত হন রেসিডেন্ট ডা. মো. আহসান হাবিব। শনিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক্স বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে বিপর্যস্ত চিকিৎসক বিএমইউ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই দিন রাতে নিগ্রহের শিকার ফেজ বি রেসিডেন্ট (অর্থোপেডিক্স) ডা. মো. আহসান হাবিব মেডিভয়েসকে বলেন, দুপুরে নিজ বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এ সময় ফিজিক্যাল এসল্টের একজন রোগী সেখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। ইকবাল নামে ওই রোগী বিএমইউর চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।
ডা. আহসান হাবিব বলেন, চিকিৎসা নিতে নিয়ম অনুসরণ করে টিকিট সংগ্রহ করতে বলায় রেগে যায় ইকবাল। তাৎক্ষণিকভাব রোগী এবং তার লোকজন ডা. আহসান হাবিবের ওপর চড়াও হয়। এ সময় তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। একই সঙ্গে হত্যারও হুমকি দেয় তারা।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল ওই চিকিৎসক নার্সদের সহযোগিতায় অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) আশ্রয় গ্রহণ করেন।
ডা. আহসান হাবিবের অভিযোগ, এ সময় কর্তব্যরত আনসার সদস্য ও হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন।
এ ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
চিকিৎসকদের কর্মস্থল নিরাপদ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার যদি দৃশ্যমান কোনো বিচার না হয়, আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে পরবর্তী ঘটনার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।