হেলথ ইনফো ডেস্ক :
রাজধানী ঢাকায় ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.১। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ১৪ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে আর নরসিংদী থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে। এর গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৭ কিলোমিটার, উৎপত্তি টঙ্গী থেকে ২০ কিমি পূর্বে, যার মাত্রা ছিল ৪.১।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে বঙ্গোপসাগরে ৪.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ২০.৫৬ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২.৩১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে, যার গভীরতা ৩৫ কিলোমিটার।
এর আগে সর্বশেষ সোমবার (১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম মহানগরসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রাত ১২টা ৫৭ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৪ দশমিক ৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের মিনজিনে এবং এর উৎপত্তি ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০৬.৮ কিলোমিটার গভীরে।
তার আগে গত ২৭ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় ৩ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ওই দিন বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট ২০ সেকেন্ডে এ ভূমিকম্প হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতো, এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে। ওই দিন ভোরের দিকে সিলেটে ও কক্সবাজারের টেকনাফে দুই দফা ভূকম্পন অনুভূত হয়।
এর আগে ২১ নভেম্বর এবং পরদিন ২২ নভেম্বর প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়। ২১ নভেম্বর সকালে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশে ১০ জন নিহত হন। আহত হন ছয় শতাধিক মানুষ।
পক্ষকালের মধ্যে আঘাত হানা বেশির ভাগ ভূমিকম্পেরই উৎপত্তিস্থল নরসিংদী।