Take a fresh look at your lifestyle.

এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার নতুন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো সরকার

৫৫

হেলথ ইনফো ডেস্ক :
সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনার শুরুর দিকে সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল, মানবিক গুণাবলির অংশটিকে একটি স্বতন্ত্র ভাগ হিসেবে উপস্থাপন করার এবং এ বিষয়ে আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে। পরে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার।

সম্প্রতি মেডিভয়েসের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন।

তিনি বলেন, মানবিক গুণাবলির অংশটিকে একটি স্বতন্ত্র ভাগ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে এবং আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে, একসময় আমরা এমন চিন্তা করেছিলাম। তবে পরে আমরা সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। এখন এটি সাধারণ ক্যাটাগরিতেই অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এই পরিবর্তনের ফলে খুব বড় কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে আমরা বিশ্বাস করি, ধীরে ধীরে এর প্রতিফলন প্রশ্নপত্রে বাড়বে। যেমন, এ বছর হয়তো অল্প থাকবে, কিন্তু আগামী বছরগুলোতে ধাপে ধাপে বাড়িয়ে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রশ্নে এই ধরণের উপাদান থাকবে—এটাই আমাদের সুপারিশ।

তবে ভবিষ্যতে এই পদ্ধতির বিস্তার ঘটবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাঁরা ভবিষ্যতে পরীক্ষা গ্রহণ করবেন, তাঁরাই এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করবেন। আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে, বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অধ্যয়ন করে এই সিদ্ধান্তে এসেছি যে, পর্যায়ক্রমে প্রশ্নপত্রে এমন বিষয় থাকা উচিত, যার মাধ্যমে একজন চিকিৎসকের মানবিক দিক, নৈতিকতা এবং আচরণ মূল্যায়ন করা যায়।’

নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের সন্তানদের মধ্য থেকেই যেন ভালো চিকিৎসক তৈরি হয়। সাধারণ মানুষ একজন চিকিৎসকের মধ্যে যে ধরনের ব্যবহার, আচরণ ও ব্যক্তিত্ব প্রত্যাশা করে, তা যেন তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে।’

এই পরিবর্তন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই সহজভাবে উপস্থাপিত হবে। তবে এর মাধ্যমে আমরা যাচাই করতে পারব—কার মধ্যে মানবিক গুণাবলি বেশি বা কম।

Leave A Reply

Your email address will not be published.