Take a fresh look at your lifestyle.

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন ১২ চিকিৎসক

৩৩

হেলথ ইনফো ডেস্ক :
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭টি আসনে তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। এর মধ্যে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তিনটি আসনে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একটি আসনে প্রার্থী করা হয়েছে।

প্রাথমিক এই প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ চিকিৎসক।

তারা হলেন—অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন (দিনাজপুর ৬), ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু (গাজীপুর ৩), ডা. আনোয়ারুল হক (নেত্রকোনা ২), ডা. মইনুল হাসান সাদিক (গাইবান্ধা ৩), ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন (ময়মনসিংহ ৭), ডা. কে এম বাবর (গোপালগঞ্জ ২), ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন (ঢাকা ১৯ সাভার), ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন (হবিগঞ্জ ২), ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম (গাইবান্ধা ১), ডা. সানসীলা জেবরীন প্রিয়াংকা (শেরপুর ১), ডা. ইকরামুল বারী টিপু (নওগা ৪) ও ডা. এম.এ. মুহিত সিরাজগঞ্জ-৬(শাহজাদপুর)।

কেন্দ্রীয় ড্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আসিফ সৈকত ও ডা. বাছেদুর রহমান সোহেল আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে মেডিভয়েসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ১১ চিকিৎসককে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করায় দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম শাকিল।

অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন

ঘোষণা অনুযায়ী, দিনাজপুর-৬ আসনে নির্বাচনে লড়বেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

গফরগাঁও ও ময়মনসিংহ থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর ১৯৮৩ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন ডা. জাহিদ হোসেন।

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব পিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) হতে এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন। ২০০১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইউরোলজিতে এমএস এবং ২০০৪ সালে কলেজ অব ফিজিমিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স, পাকিস্থান হতে এফসিপিএস সম্পন্ন করেন। ২০০৬ সালে রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স, এডিনবার্গ, যুক্তরাজ্য হতে এফআরসিপি ফেলোশিপ অর্জন করেন।

ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু

গাজীপুর-৩ আসনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। চিকিৎসক হিসেবে তাঁর সুনাম রয়েছে। একই সঙ্গে দলের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত ছিলেন ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।

অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক

নেত্রকোনা-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন নেত্রকোনা জেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক।

নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামের কৃতী সন্তান ডা. আনোয়ার একজন অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জন হিসেবে যেমন জেলার স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখছেন, তেমনি রাজনীতির ময়দানেও নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন।

অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক

গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক। মেডিসিনে এফসিপিএস করা ডা. মইনুল হাসান সাদিক শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।

বিএনপির দুঃসময়ে কাজ করেছেন বলে দল তাঁকে মূল্যায়ন করেছেন বলে মনে করেন ডা. মইনুল হাসান সাদিক। তিনি বলেন, ‘আমি দলের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দলকে এই আসনটি উপহার দেবো।’

ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন

ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন।

ডা. কে এম বাবর

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. কে এম বাবর।

বরিশাল মেডিকেল কলেজের (শেবাচিম) ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে একাগ্রচিত্ত বাবর শেবাচিমের ভিপি ও জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তিনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন

ঢাকা-১৯ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু।

তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৭ সালে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৯১ সালে দশম বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি হয়ে আসেন। ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি সরকারি চাকুরি হতে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন

ঘোষণা অনুযায়ী, হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) এ মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন।

ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম

গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ সংসদীয় আসনে অধ্যাপক ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম জিয়া মনোনয়ন পেয়েছেন।

ডা. সানসীলা জেবরীন প্রিয়াংকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ আসন থেকে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. সানসিলা।

তিনি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ডা. প্রিয়াঙ্কা। সে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি, হারিয়েছিলেন চাকরি।

তিনি শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. হযরত আলীর মেয়ে।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সানসিলার জন্ম ১৯৯৩ সালের ২২ জুন। তিনি ২০০৮ সালে এসএসসি ও ২০১০ সালে এইচএসসি পাস করেন। আর এমবিবিএস সম্পন্ন করেন ২০১৬ সালে।

ডা. ইকরামুল বারী টিপু

আর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. ইকরামুল বারী টিপু।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. এম.এ. মুহিত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.