Take a fresh look at your lifestyle.

শেবাচিম এর দেয়াল যেন ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বারের বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড!

১৮৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এটি দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের ভরসা স্থল। এই হাসপাতালে যেমন রয়েছে দালালদের দৌরাত্ব তমনি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস এর অভিযোগ। তবে আগের তুলনায় বর্তমানে দালালদের আনাগোনা অনেকটাই কমেছে হাসপাতালটিতে।

কিন্তু থেমে নেই ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস। এখানে চিকিৎসা নিতে আসার রোগীদের কোন রকম দেখেই দায়সারা আর যদি কোন জটিল বিষয় হয় তাহলে রোগীকে তার প্রাইভেট চেম্বারে দেখার ঠিকানা ধরিয়ে দেয়া হয়।

এরকমই বর্তমানে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের সামনে পিছনে সবযায়েগাতে ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বারের বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে সয়লাভ।

বিভিন্ন প্যাথলজিকাল ল্যাবের বিজ্ঞাপনে ঢেকে গিয়েছে শেবাচিম ক্যাম্পাসের দেয়াল।

স্বৈরাচারের দোসর থেকে স্বনামধন্য চিকিৎসকদের সচিত্র পোষ্টার এর সাথে প্যাথলজিকাল ল্যাবের পোষ্টার, চটকদার সব কথায় বিভ্রান্ত হচ্ছে গরীব রোগীরা।

হাসপাতাল ক্যাম্পাসের দেয়ালে ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বারের বিজ্ঞাপন অবৈধ, কারণ এটি পেশাগত নীতিমালার পরিপন্থী এবং বিভ্রান্তিকর।

বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর নীতিমালা অনুযায়ী, একজন চিকিৎসককে তার পেশাগত অবস্থান, দক্ষতা বা অর্জনের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে এমন কোনো বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও, রোগীদের ভুল বোঝাতে পারে এমন কোনো বিজ্ঞাপনও প্রচার অনুচিত বলে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর নীতিমালায় রয়েছে।

কিন্তু কে শোনে কার কথা। প্যাথলজিকাল ল্যাবের পোষ্টারে চটকদার সব কথায় বিভ্রান্ত অনেক রোগীরাই।

সচেতন মহল বলছে এই ধরনের বিজ্ঞাপন রোগীর বিভ্রান্তি বাড়াতে পারে, যা তাদের সঠিক চিকিৎসা সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে। কিছু ক্ষেত্রে, এই ধরনের বিজ্ঞাপন রোগীদের সাথে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে, যা আইনের পরিপন্থী। এটি ফেডারেল ট্রেড কমিশন (FTC) আইন এবং অন্যান্য ভোক্তা সুরক্ষা আইনের অধীনেও অবৈধ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.