Take a fresh look at your lifestyle.

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া সেই পাঁচ শিশু হাসপাতালে ভর্তি

৫৯

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঁদকাঠি গ্রামে একসঙ্গে স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়া পাঁচ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ঠাণ্ডাজনিত রোগে অসুস্থ হওয়ায় সোমবার তাদের বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুদের মা লামিয়া আক্তার বলেন, পাঁচ সন্তান অসুস্থ। এরমধ্যে তিনজনের নিউমোনিয়া হয়েছে। অপর দুইজনের রক্তে ইনফেকশন হয়েছে। তাদের বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এক সন্তানের ভরনপোষণের ব্যয় অনেক। সেখানে পাঁচ সন্তানের খরচ, একটার জায়গায় পাঁচটা লাগে। স্বামী ছোট ব্যবসা করে তাই কেউ যদি একটু সহায়তা করে, তাহলে আমাদের উপকার হবে।’

বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ডা. মারুফ বলেন, ‘শিশু পাঁচটি জন্ম দেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ হওয়ার পর বাড়ি গিয়েছিল। তাদের বয়স একমাসের একটু বেশি। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কম। তাই শিশুরা এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়। তাদের বয়স ৬ মাস হলে ঝুঁকি কমে যাবে।’

শেরই বাংলা মেডিকেলের ওই চিকিৎসক দরিদ্র পরিবারের পাঁচ শিশু সন্তানের পরিচর্যার জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকেও তাদের সহায়তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান ডা. মারুফ।

শিশুদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে শিশুদের চিকিৎসার ঔষধ, দুধ, প্যাম্পার্সসহ বিভিন্ন উপকরণ শিশুদের বাবা-মায়ের কাছে তুলে দিয়েছেন সমাজসেবা অধিপ্তরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক একেএম আখতারুজ্জামান তালুকদার ও সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ।

এ সময় সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, ‘শিশুদের পাশে সব সময় ছিলাম। শিশুদের সহায়তায় ৮৪ ইভেন্টের পক্ষ থেকে একটি গরু উপহার দেয়া হয়েছে। অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে এসে সহায়তা করা হয়েছে। সুস্থভাবে এরা যেন বেড়ে উঠে সেই নজরও থাকবে।’

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঁদকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মুদী দোকানী সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী স্বাভাবিকভাবে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন। বরিশাল নগরীর একটি হাসপাতালে জন্মের পর পাঁচ শিশুকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে তারা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.